জলমহাল লুটের ঘটনায় বিএনপি’র উদ্বেগ, ইন্ধনদাতাদের গ্রেফতারের দাবি
- আপলোড সময় : ০৭-০৩-২০২৫ ০৬:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ০৭-০৩-২০২৫ ০৬:০০:৫৫ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
দিরাই ও শাল্লা উপজেলার হাওরের কয়েক দিনের ব্যবধানে একের পর এক জলমহাল লুটের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং শাল্লা উপজেলা বিএনপি। প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়ে বৈধ ইজারাকৃত জলমহালের কোটি কোটি টাকার মাছ লুটের একটি দুষ্কৃতকারী চক্রের ইন্ধন রয়েছে সেই ইন্ধনদাতাদের চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে দিরাই উপজেলা ও পৌর বিএনপির কার্যালয়ে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতিতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করেন সুনামগঞ্জ-২ (দিরাই -শাল্লা) আসনে মনোনয়ন প্রত্যাশী জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কমিটির সাবেক সদস্য অ্যডভোকেট তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল। এসময় উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত দিরাই উপজেলা আহবায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল কাইয়ুম, সোয়েব হাসান, মঞ্জু মিয়া ও পৌর বিএনপির আহ্বায়ক মিজানুর রহমান, উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব লিপন হাসান চৌধুরী, উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আবু হাসান চৌধুরী সাজু, যুগ্ম আহ্বায়ক তানভীর হাসানসহ উপজেলা ও পৌর বিএনপির নেতাকর্মীবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে তাহির রায়হান চৌধুরী পাবেল জানান, সাম্প্রতিক সময়ে মাত্র কয়েকদিনে দিরাই ও শাল্লা উপজেলার বেশ কয়েকটি ছোট বড় জলমহাল দিনে দুপুরে ঘোষণা দিয়ে লুটপাট করা হচ্ছে। যা আমাদের এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি হিসেবে উপস্থাপন হচ্ছে। তবে বাস্তবতা হচ্ছে কয়েক হাজার মানুষের সামনে মাত্র কয়েকজন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য কোনোভাবেই এই পরিস্থিতি মোকাবেলা সম্ভব নয়।
বর্তমান পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে অবশ্যই আমাদের সম্মিলিত উদ্যোগ প্রয়োজন, যারা এই সাধারণ মানুষের আবেগকে পুজি করে এই লুটপাটে উৎসাহিত করছে নিঃসন্দেহে এইটা এলাকার বিরুদ্ধে গভীর ষড়যন্ত্র তথা রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের সামিল। এর ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে আমাদের সমাজ ব্যবস্থার শৃঙ্খলা কাঠামো ভেঙে পড়বে। তখন কিন্তু আমরা ও আমাদের পরিবার কেউ নিরাপদ নয়।
বিএনপি বড় দল হিসেবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে ন্যাক্কারজনকভাবে জলমহাল লুটপাটের বিরুদ্ধে জনসমর্থন আদায় করতে হবে। পাশাপাশি বিএনপির কোনো নেতাকর্মী যদি এর সাথে জড়িত থাকেন তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দল পিছপা হবে না।
এই ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নজরদারি রাখতে হবে। প্রতিটা ইউনিয়নে তহশিলদার নিয়োগ থাকার পরও কিভাবে জলমহাল শুকিয়ে মাছ আহরণ করা হয় সে ব্যাপারে অবশ্যই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে জবাবদিহি করতে হবে। এর দায় উপজেলা প্রশাসন ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সার্বক্ষণিক খোঁজ রাখতে হবে অন্যথায় এর দায় নিতে হবে।
গণমাধ্যমেসহ অন্যান্য মাধ্যমে আমরা জেনেছি জলমহাল ইজারাদার সমিতির পক্ষ থেকে লংকেশ্বর দাস নামের এক ব্যক্তি বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। ইতিমধ্যে দিরাই থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে কয়েকজনকে আটক করেছে।
কয়েক হাজার মানুষ এই লুটপাটে অংশ নিয়েছে এখানে প্রকৃত অপরাধীকে সঠিকভাবে শনাক্ত করে আইনি ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি অনুরোধ করছি। কয়েক হাজার লুটপাটকারীদের মধ্যে কিছু সংখ্যক শনাক্ত না হলেও নিরপরাধ কেউ যেন কোনোভাবেই হয়রানির শিকার না হয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।
উল্লেখ্য গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে দিরাই ও শাল্লার হাওরে ইজাকৃত অন্তত ১১টি জলমহালের কয়েক কোটি টাকার মাছ লুট করে কয়েক হাজার মানুষ। উপজেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী সদস্য ও পুলিশের বাঁধা ডিঙিয়ে লুটপাটে মেতে উঠে হাজার হাজার মানুষ।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ